ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায্য পানির হিস্যায় নীরব থাকার দিন শেষ : রিজওয়ানা হাসান

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২২-০৯-২০২৪ ০৬:৩৭:২৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২২-০৯-২০২৪ ০৬:৩৮:১২ অপরাহ্ন
ন্যায্য পানির হিস্যায় নীরব থাকার দিন শেষ : রিজওয়ানা হাসান ​সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সংবাদচিত্র: পিআইডি/ফোকাস বাংলা নিউজ
বাংলা স্কুপ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪: 
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পানিবণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সরকারি পর্যায়েও নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকার দিন শেষ হয়ে গেছে। 
তিনি রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ফেনীর পরশুরামের মীর্জানগর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন নিজ কালিকাপুর এলাকায় সীমান্তের বল্লারমুখ বাঁধ পরিদর্শন করতে গিয়ে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, একটি কথা মাথায় রাখতে হবে নদীর পানি কেবলমাত্র রাজনীতি না, এটি কূটনীতি সেই সঙ্গে অর্থনীতিও। এজন্য আমাদের মানুষের কথা, দুর্ভোগ ও প্রত্যাশা বুঝতে উজানের দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলতেই এখানে আসা।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, উজানের দেশ ভারতের সঙ্গে শুধুমাত্র এ নদী কেন্দ্রিক সমস্যা এমন নয়, প্রায় সবগুলো নদী নিয়েই সমস্যা। আমাদের ৫৪ বা ৫৭টি অভিন্ন নদী রয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি। তিস্তা নিয়েও তা পারিনি। বন্যায় অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে আপনাদের কাছে এটি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। কিন্তু তিস্তা পাড়ের মানুষের এমন বন্যায় প্রতিবছর দুঃখ করতে হয়। এটি এভাবে চলতে পারে না।
আন্তর্জাতিক আইনের স্বাক্ষর করার সুফল তুলে ধরে পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমরা যদি আন্তর্জাতিক আইনে স্বাক্ষর করি, তাহলে এ আইনের নীতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কথা বলা অনেক বেশি সহজ হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সব মহল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ভবিষ্যতে চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশকে স্বাক্ষর করতে হবে। দরকষাকষি করে আমাদের অনুকূলে চুক্তি পেলে তাতে আমরা স্বাক্ষর করতে রাজি থাকব। 
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারের চশমা দিয়ে নয়, জনগণের চশমা দিয়ে সমস্যাগুলো দেখার জন্যই এখানে এসেছি। স্থানীয়রা এ বিষয়ে কেমন সমাধান চায়, সে কথা শুনে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রতিবেশী দেশ থেকে একটি বাঁধ কেটে দেওয়ার কারণে ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ প্রায় শেষপর্যায়ে। এখন যৌথ নদী কমিশন ও নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে বসে এ ক্ষতির কথা তুলে ধরব। 
এ সময় পানিসম্পদ উপদেষ্টার সঙ্গে ফেনীর জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ